ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৩/০১/২০২৪ ৮:৪৬ এএম

হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল-আরৌরিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এমনটাই দাবি করেছিল দেশটি। পরে হামাসও আরৌরির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। গতকাল মঙ্গলবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় আরৌরি নিহত হন। আল-আরৌরির হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ। তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

হামাস জানিয়েছে, সালেহ আল-আরৌরি ছাড়াও আরও দুই হামাস নেতা নিহত হয়েছেন। তাঁরা দুজনই হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জুদ্দিন আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের কমান্ডার। তবে নিহত ওই দুই কমান্ডারের নাম প্রকাশ করেনি হামাস। এ ছাড়া ওই হামলায় সব মিলিয়ে অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছে।

হামলার পরপরই লেবাননের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা জানিয়েছিল, লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলের মেকারফেহে অবস্থিত হামাসের কার্যালয়ে হামলার ফলে নিহত হন সালেহ আল-আরৌরি। গত ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর আল-আরৌরিই হামাসের শীর্ষ নেতা যিনি ইসরায়েলি হামলায় নিহত হলেন।

এদিকে, আল-আরৌরি হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলকে শাস্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গোষ্ঠীটি নিজস্ব টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেছে, তাদের সেনাদের আঙুল বন্দুকের ঘোড়ায় চেপে বসেছে। তারা যেকোনো সময় ইসরায়েলিদের লক্ষ্য করে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মাঠে নামবে।

টেলিগ্রামে চ্যানেলে হিজবুল্লাহ বলেছে, ‘তথাকথিত ড্রোন হামলার মাধ্যমে আল-আরৌরি, হামাসের অন্য দুই শীর্ষ নেতাসহ ৬ জনকে হত্যা লেবাননের ওপর একটি গুরুতর হামলা।’ গোষ্ঠীটি আরও বলেছে, ‘দখলদার ও প্রতিরোধ অক্ষের মধ্যে (হামাস ও হিজবুল্লাহ) মধ্যে যুদ্ধ চলাকালীন এটি (ড্রোন হামলায় আল-আরৌরির নিহত হওয়া) একটি বিপজ্জনক বিকাশ। এটিকে কোনোভাবেই বিনা প্রতিক্রিয়া শাস্তি ছাড়া বয়ে যেতে দেওয়া যাবে না।

পাঠকের মতামত

ইরানের ভয়ে তটস্থ ইসরায়েল!

ইসরায়েলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা আসন্ন বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ...